শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক ::
সিলেটে ও মৌলভীবাজারে পৃথক পৃথক মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১২ মাদকসেবীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সোমবার রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। র্যাব-৯ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সিলেট ও মৌলভীবাজার ক্যাম্পের আভিযানিক দল মেজর শওকাতুল মোনায়েম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার এবং সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল রিছিলসহ এসএমপি ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অবৈধ মাদক রাখা ও সেবন করার অপরাধে ১২ জন মাদক সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে র্যাব-৯ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন মো. আলমগীর মিয়া (৩৪), মো. আব্দুস সামাদ (২৩), মো. সুমন আহমেদ (২৭), মো., মহসিন মিয়া, মো. শাহাদৎ হোসেন, মো. নবী হোসেন (২৭), মো. খলিল মিয়া (৩৬), মো. এখলসুর রহমান (২০) ও মো. নাজমুল হুদা (১৯)।
এদের প্রত্যেককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মো. রিপন মিয়া (৩৮) ও মো. আবু সুফিয়ান (২৮) এদের দুই জনকে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এবং মো. মোস্তফা মিয়াকে (২০) ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। র্যাব জানিয়েছে, মাদক সেবনকারীদের কাছে থেকে ইয়াবা ১০ পিস, গাঁজা ৪ পুরিয়া উদ্ধার করে ধ্বংসপূর্বক সকল মাদকসেবিদের সিলেট জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুই তরুণকে আটক: সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাধীন এয়ারপোর্ট থানাধীন সুরমাগেট বাইপাস পয়েন্ট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজসহ দুই তরুণকে আটক করা হয়েছে। সোমবার দিনগত রাত ১১টার দিকে র্যাব-৯ এর একটি টিম তাদের আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন জালালাবাদ থানার নয়াবাজার গ্রামের মো. শামিম (২৫) ও এয়ারপোর্ট থানার লাখাউড়া গ্রামের রাসেল মিয়া (২৫)। র্যাব-৯ এর সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সুরমা গেট বাইপাস পয়েন্টস্থ সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ওই দুই তরুণকে আটকের সময় তাদের কাছে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ‘এলজি’ ও ২ রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া যায়। র্যাব জানিয়েছে, আটককৃতরা পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী। শামিম ও রাসেল মিয়া এসএমপির এয়ারপোর্ট থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে লিপ্ত ছিল। র্যাব-৯ এর সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শামিম ও রাসেল বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র ভাড়া দিয়ে থাকে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলে স্বীকার করেছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও আটককৃতদের এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply